রফউল ইয়াদাইন তথা তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত অন্য কোথাও হাত না উঠানো হাদীস দ্বারা সমর্থিত
রফউল ইয়াদাইন না করা সংক্রান্ত দলীল
নামায শুরু করার সময় একবার তাকবীরে তাহরীমা বলে উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হয়, তাছাড়া নামাযের ভিতর আর কোথাও হাত উঠানোর প্রয়োজন নেই। আমরা যেভাবে নামায আদায় করি তা সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে প্রমাণিত। কিছু কিছু হাদীসে প্রমাণ পাওয়া যায় যে রাসূল সাঃ রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন। এই আমল ছিল রাসূল সাঃ এর জীবনের প্রথম দিকে পরে তিনি উক্ত আমল ছেড়ে দিয়েছেন।
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا لِي أَرَاكُمْ رَافِعِي أَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ
شُمْسٍ اسْكُنُوا فِي الصَّلاَةِ.
জাবির ইবনে সামুরা রাঃ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাদের নিকট আগমন করে বললেন, তোমরা চঞ্চল ঘোড়ার লেজের মত হাত উঠাচ্ছ কেন? নামাযের মধ্যে স্থির থাকবে।
[মুসলিম শরীফঃ ১ম খন্ড ১৮১পৃঃ]
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَالَ أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّةً وَاحِدَةً
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করব না? এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন- কিন্তু প্রথম বার (তাকবীরে তাহরীমার সময়) ছাড়া আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন(হাত উত্তোলন) করেন নি।
[সুনানে নাসাঈ: ১০৫৮, মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ: ২৫৮, তিরমিযী: ২৫৭, আবু দাউদ:৭৪৮, সুনানুল কুবরা: ২৪৫৬]
عن عبد الله بن مسعود – رضي الله عنه – قال : صليت خلف النبي – صلى الله عليه وسلم – وأبي بكر ، وعمر ، فلم يرفعوا أيديهم إلا عند افتتاح الصلاة .
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে, আবু বকর (রা) ও উমারের (রা.) পিছনে সালাত পড়েছি; তারা সালাতের শুরু ব্যাতীত আর কোথাও হাতদ্বয় উত্তোলন করতেন না।
[সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী: ২৪৫৯, দারা কুতনী: ২৫/১১১৮]
عن البراء بن عازب أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا افتتح الصلاة رفع يديه ثم لا يرفعهما حتى يفرغ .
বারা ইবনে আযেব রা. বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন তখন দু’হাত উত্তোলন করতেন, তারপর সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত আর হাত তুলতেন না।
[মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ: ২৫৮/১]
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَيُّوبَ الْمُخَرِّمِيُّ، وَسَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ، وَشُعَيْبُ بْنُ عَمْرٍو فِي آخَرِينَ قَالُوا: ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا» وَقَالَ بَعْضُهُمْ: حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَبَعْدَ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَا يَرْفَعُهُمَا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَلَا يَرْفَعُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ، وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ
হযরত সালেম স্বীয় পিতা ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনি বলেন যে,আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি,তিনি নামায যখন শুরু করতেন তখন রফউল ইয়াদাইন করতেন কাঁধ বরাবর। আর যখন রুকু করতে ইচ্ছে করতেন এবং রুকু থেকে মাথা উঠাতেন,তখন তিনি রফউল ইয়াদাইন করতেন না। কতিপয় বর্ণনাকারীগণ বর্ণনা করেন যে,দুই সেজদার মাঝেও রফউল ইয়াদাইন করতেন না। অর্থ একই।
[মুসনাদে আবী আওয়ানা-১/৪২৩,হাদীস নং-১৫৭২,তাহকীক-আইমান বিন আরেফ আদদিমাশকী,প্রকাশক-দারুল মা’রিফা,বাইরুত,লেবানন]