ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে আমীন আস্তে বলতে হবে কুরআন এবং হাদীস দ্বারা এই নিয়ম সাব্যস্ত


আস্তে আমীন বলা সংক্রান্ত দলীলঃ


আতা ইবনে রাবাহ বলেন, ‘আমীন হচ্ছে দুআ।’ 

[সহীহ বুখারী ১/১০৭]
আর দুআ আস্তে করাই উত্তম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ

ادعوا ربكم تضرعا وخفية

তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ডাক কাতরভাবে ও গোপনে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। [সূরা আ’রাফঃ ৫৫]

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে গোপনে দুআ করার কথা বলেছেন আর আমীন বলাও যেহেতু একটি দুআ তাই আমীন আস্তে বলাই উত্তম।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلعَمَ قَالَ إِذَا قَالَ الْإِمَامُ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, ইমাম যখন ‘ওয়ালায যাল্লীন’ বলেন, তখন তোমরা ‘আমীন’ বলো। যার কথা ফেরেস্তাদের কথার সাথে মিলে যাবে তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে।

[বুখারী-৭৭৪ ১/১০৮]

উক্ত হাদীসের প্রতি লক্ষ করুন, রাসূল সাঃ বলেছেন যার কথা ফেরেশতাদের কথার সাথে মিলে যাবে তার গোনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে।
আমরা জানি, ফেরেশতারা চুপি চুপি আমীন বলেন তাই ফেরেশতাদের সাথে মিলাতে গেলে ইমাম আমীন আস্তে বলবেন এবং মুক্তাদীগণও আমীন আস্তে বলবেন তবেই ফেরেশতাদের সাথে মিলে যাবে।

আর যদি ইমাম আমীন জোরে বলেন, মুক্তাদীগণও জোরে বলেন আর ফেরেশতাগণ আমীন আস্তে বলেন তাহলেতো ফেরেশতাদের সাথে মিললো না।

অতএব, আমীন জোরে নয় বরং আস্তে বলাই নিয়ম।

وَرَوَى شعبةُ هذا الحديثَ عن سلمةَ بن كُهَيْلٍ عن حُجْرٍ أبِي العَنْبَسِ عن عَلْقَمَةَ بنِ وَائِلٍ عن أبيه أنّ النبيّ صلعم قرأ غير المغضوبِ عليهم ولاَ الضالين فقال: آمين، وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ

হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা. বলেন, আমি শুনেছি, রাসূল সা. ‘ওয়ালায-যাল্লীন’ বলার পর ‘আমীন’ বলেছেন। তিনি ‘আমীন’ শব্দটি নিম্নস্বরে বলেছেন। 

[তিরমিযী-২৪৮, ১/৫৮; মুসনাদে আহমদ, ৪/৩১৬]

أربع يخفيهن الإمام : التعوذ وبسم الله الرحمن الرحيم وآمين واللهم ربنا ولك الحمد

হযরত ওমর রা. বলেন, চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়া লাকাল হামদ।

[ইবনে জারীর, কানযুল উম্মাল ৮/২৭৪; বিনায়াহ ২/২১৯]

كان علي وعبد الله لا يجهران ببسم الله الرحمن الرحيم ولا بالتعوذ، ولا بالتأمين، قال الهيثمي : رواه الطبراني في الكبير
وفيه أبو سعد البقال، وهو ثقة مدلس.

আবু ওয়াইল রাহ. বলেন, খলীফায়ে রাশেদ আলী রা. ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বিসমিল্লাহ উঁচু আওয়াজে পড়তেন না। তেমনি আউযুবিল্লাহ ও আমীনও।

[আলমুজামুল কাবীর, হাদীস : ৯৪০৪; মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১০৮]

أربع يخفيهن الإمام : بسم الله الرحمن الرحيم والاستعاذة وآمين، وإذا قال سمع الله لمن حمده قال ربنا لك الحمد.

ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : বিসমিল্লাহ, আউযুবিল্লাহ, আমীন ও সামিআল্লাহর পর রাববানা লাকাল হামদ।

[মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ২/৮৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৮৬]
পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No Comment
Add Comment
comment url