সমস্ত রোগ ব্যধি থেকে মুক্তির জন্য আয়াতে শেফার আমল
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াআল্লাহ তা’আলা আনহূ হতে বণিত। হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ পাক এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি
[বুখারী, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-৮৪৮, হাদীস নং-৫২৭৬; তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫ ]
ইমাম সুবকী রঃ উনাকে স্বপ্নে মহান আল্লাহ পাক বলেন, তুমি কোরআন মজিদের শেফার আয়াত সমূহ একত্র করে তা তোমার ছেলের নিকট পাঠ কর অথবা আয়াতগুলো একটি পাত্রে একত্রে লিখে তা ছেলেকে পান করাও, যতক্ষন না তাতে সে আরাগ্য হয়। অতঃপর তিনি অনুরূপ করলে উনার ছেলেকে মহান আল্লাহ পাক সুস্থতা দান করেন।
[তাফসীরে রূহুল মা’আনী, খন্ড-৮ম, পৃষ্ঠা-১৪৫]
যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না, তার কোন শেফা নেই
[তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫]
তাই আল কোরআন মানুষের হিদায়াতের পাশাপাশি তাদের রোগ-বালাই থেকে পরত্রানের জন্যও কতই না কার্যকর, কতই না ফলপ্রসু। দুনিয়া ও আখিরাতের সমূহ কল্যান লাভের ক্ষেত্রে কতই না বাস্তব এর প্রতিটি তথ্য ও তত্ত।
রোগমুক্তির জন্য আয়াতে শেফার আমলঃ
রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াত যেমন,
পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত "আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত" নামে পরিচিত।
এগুলো পড়ার পূর্বে সুরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম।
আয়াতগুলো হচ্ছেঃ
১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াতঃ
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ
উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন।
অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।
২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াতঃ
وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন।
অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।
৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতঃ
يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ
উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি।
অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার।
৪. সুরা বনী ইস্রাঈলের ৮২ নং আয়াতঃ
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
উচ্চারণ : ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতিুল লিলমু’মিনি-ন।
অর্থ : আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।
৫. সুরা আশ্-শোয়ারার ৮০ নং আয়াতঃ
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
উচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।
অর্থ : এবং (যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন)
৬. সুরা হা-মীম এর ৪৪ নং আয়াতঃ
قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ
উচ্চারণ: কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূ হুদাওঁ ওয়া শিফাউন।
অর্থ : (বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার)