এক সালামে তিন রাকাআত বিতর ও দুই রাকাআতে বৈঠক করা সংক্রান্ত দলীল
বিতর নামায তিন রাকাআত সংক্রান্ত দলীলعن عائشة قالت : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتر بثلاث لا يسلم إلا في آخرهن، وهذا وتر أمير المؤمنين عمر بن الخطاب رضي الله عنه وعنه أخذه أهل المدينة
‘আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাতে বিতর পড়তেন এবং শেষ রাকাতের পূর্বে সালাম ফেরাতেন না’।
[আলমুসতাদরাক ১/৩০৪ হা.১১৮১ তহাবী ১/১৯৩ নাসায়ী ১/২২৮ হা.১৬৯৮ ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯৩-৪৯৪ হা.৬৯১৩ কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মদীনা ১/১৩৭ ৩/২১৪]
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : صلاة المغرب وتر النهار فأوتروا صلاة الليل
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দিনের বিতর হল মাগরিবের নামায। তোমরা রাতের নামাযকেও অনুরূপ বিতর করে পড়।
[মুসনাদে আহমদ হা.৪৮৪৭, ইবনে আবী শাইবা ৪/৪ হা.৬৭৭৩, ৬৭৭৮ আব্দুর রাযযাক হা.৪৬৭৫ তাবারানী: সগীর ও আওসাত।]
দুই রাকাআতে বৈঠক করা সংক্রান্ত দলীল
وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ،
আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: প্রতি দুই রাকাতের পর বৈঠক রয়েছে।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৯৮]
وكان يقول فى كلِّ ركعتين التحية … تعليق-٥
হযরত আয়েশা রাঃ বলেন, নামাযের প্রতি দুই রাকাতেই একবার আত্তাহিয়্যাতু পড়বে।
[সহীহ মুসলিম হা.১১৩৮]
সুফ্ইয়ান ছাউরী র. তাঁর পূর্বসূরি তাবেয়ীদের বিতর নামাযের বিবরণে বলেন:
كانوا يستحبون أن يقرأ في الركعة الأولى : سبح اسم ربك الأعلى، وفي الثانية : قل يا أيها الكافرون، ثم يتشهَّد، وينهَضُ، ثم يقرأ في الثالثة : قل هو الله أحد.
তাঁরা তিন রাকাত বিতরের প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন পড়তেন। তারপর বসে তাশাহহুদ পড়ে আবার উঠে দাঁড়াতেন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন।
[সালাতুল বিতর: মারওয়াযী পৃ. ২৭৯]
রুকুর পূর্বে দোয়া কুনুত পড়া সংক্রান্ত দলীল
كَانَ عَبْدُ اللهِ يَقْرَأُ فِي آخِرِ رَكْعَةٍ مِنَ الْوِتْرِ: قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فَيَقْنُتُ قَبْلَ الرَّكْعَةِ “
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ বিতরের শেষ রাকাতে ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তেন, তারপর দুই হাত উত্তোলন করতেন, তারপর রুকুর পূর্বে কুনূত পড়তেন।
[আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারনী-৯/২৮৩, হাদীস নং-৯৪২৫, জুযয়ে রফউল ইয়াদাইন, ইমাম বুখারীকৃত-২৮, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ-২/২৪৪, হাদীস নং-৩৪৭১, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৪/৫৩১, হাদীস নং-৭০২৮]